মো.অহিদ সাইফুল, রাজাপুর ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরে সড়ক বিভাগের অবহেলায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সৈকত এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৮৬৩৬) নামে একটি যাত্রীবাহী পরিবহন। এতে পরিবহনে থাকা সকলেই আহত হন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঝালকাঠি – ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার বড় কৈবর্তখালী নতুন সমবায় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর ৫জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
গুরুতর আহতরা হলো পাথরঘাটার উপজেলার আব্দুল মজিদের পুত্র মামুন (৩০), শাহ-আলম এর পুত্র মহিবুল্লাহ (২৮), মঠবাড়ীয়া আতাহার মিস্ত্রীর পুত্র শাহ-আলম (৬৫), ভান্ডারিয়ার আবুল কালাম এর পুত্র আবুল হোসেন (৩২), পিতা অজ্ঞাত অলিউল্লাহ (৫০)।
স্থানীয়রা জানায়, চট্ট্রগ্রাম থেকে পাথরঘাটর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামের পরিবহনটি উপজেলার বড় কৈবর্তখালী সমবায় নামক স্থানে আসা মাত্রই সড়কের ওপর দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকে থাকা শিশু গাছের সাথে লেগে পরিবহনটির উপরের ছাদের অংশ উপড়ে যায় এবং পরিবহনটি দুই ভাগে আলাদা হয়ে যায়। এ সময় পরিবহনে থাকা ১৩ জন যাত্রীসহ চালক, সহকারি ও সুপারভাইজার আহত হয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, বারবার বিভিন্ন ভাবে সড়ক ও জনপদকে বিভাগকে সড়কে ঝুঁকে থাকা গাছ অপশারনের ব্যাপারে দৃষ্টিপাত করার চেষ্টা করলেও এদিকে তাদের দৃষ্টি পরেনি। তাদের অবহেলার কারনেই বার বার এরকম দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারনকে। ঝালকাঠি – ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে এ রকমের অনেক গাছ ঝুঁকে রয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে এর চেয়েও বড় কোন দুর্ঘটনা। তাই ভবিষ্যতে এরকম আর কোন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে এ জন্য এখনই সড়ক বিভাগের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী স্থানীয়দের। ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমিন জানান, সড়কের পাশের কিছু গাছ সড়ক বিভাগের আর কিছু গাছ বনবিভাগের। সড়ক বিভাগের অতি ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। সাধারন ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে মার্কিং করা হয়েছে।রাজাপুর থানা পুলিশ দূর্ঘটনা কবলিত বাসটি তাদের হেফাজতে রেখেছে।
Leave a Reply